1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

  • Update Time : সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১
  • ৫০১ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জে ছাত্রকে বলাৎকার এবং তাতে সহযোগিতার অভিযোগে দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের নামে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় রোববার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন ওই ছাত্রের বাবা।

দুই মাদ্রাসা শিক্ষক হলেন জামিয়াতুস সুন্নাহ কিশোরগঞ্জ মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা বেলাল হোসেন ও অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মুফতি হোসাইন মোহাম্মদ নাঈম।

মামলার এজহারে বেলালের বিরুদ্ধে বলাৎকারের এবং অধ্যক্ষ মুফতি হোসাইন মোহাম্মদ নাঈমের বিরুদ্ধে বেলালকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।

হোসাইনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার কান্দাইল এলাকায় এবং বেলালের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পাড়া পাচাশি এলাকায়।
মামলার বাদী জানান, তিনি ঢাকায় একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। তার স্ত্রী একটি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। তাদের একমাত্র ছেলেকে কোরআনে হাফেজ বানানোর জন্য ভর্তি করা হয় জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদ্রাসায়। ১০ বছর বয়সী ছেলেটি নাজেরা বিভাগ থেকে পাস করে হেফজখানায় ভর্তি হয়। মাদ্রাসাতেই থাকত সে। সাপ্তাহিক ছুটিতে গত শুক্রবার ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যান তিনি। সেখান থেকে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে যান শ্বশুরবাড়ি। সেদিন বিকেলে শিক্ষক বেলাল তাকে ফোন করে জানান, ছেলে দ্রæত মাদ্রাসায় ফিরিয়ে দিতে হবে, না হলে পড়াশোনার ক্ষতি হবে।মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা শুনে তার ছেলে কান্নাকাটি শুরু করে। একপর্যায়ে সে জানায়, গত ১৫ আগস্ট সকালে মাদ্রাসার তিনতলায় একটি টয়লেটে নিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে বলাৎকার করেন শিক্ষক বেলাল।

একইভাবে গত শুক্রবার সকালেও তাকে নির্যাতন করা হয়। সেদিনই মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষের কাছে বিষয়টি জানালে বেলালকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেলাল তা স্বীকার করে সবার কাছে ক্ষমা চান।

ওই ছাত্রের বাবা বলেন, ‘বেলালকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের জিম্মায় রেখে বাসায় চলে আসি। স্বজনদের পরামর্শে আবার মাদ্রাসায় গিয়ে ওই শিক্ষকের খোঁজ করে জানতে পারি তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হোসাইন মোহাম্মদ নাঈম।’

ওই ছাত্র জানায়, বেলাল আরও কয়েক ছাত্রকে বলাৎকার করেছেন। বেশ কয়েকটি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও সে। তবে ভয় ও লজ্জায় সবাই চুপ থাকে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসাইন জানান, ১৭০ জন ছাত্র পড়াশুনা করে তার মাদ্রাসায়। এর মধ্যে ৩০ জন আবাসিক ছাত্র। ‘বিষয়টি জানার পরই বেলালকে মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..